করোনা ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের অতিরিক্ত কমিশনার মো. সামছৌদদৌজা নয়ন জানান, বিভিন্ন ধরনের ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে জরুরি না হলে বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা রেশন বিতরণ করেন তাদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বিতরণ করতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য ও এলপি গ্যাস বিতরণে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাস অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোয় এই ভাইরাস আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সামছৌদদৌজা বলেন, এসব শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও দেশি-বিদেশি এনজিও কাজ করছে। তাদের নিয়ে মিটিং করে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। বিদেশি নাগরিকদের আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের ভ্রমণ বৃত্তান্ত চেক করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত এসব শিবিরে কেউ আক্রান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, কাউকে যদি সন্দেহ হয় তাহলে কোয়ারান্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলেও তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইসোলেশনে রাখার জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিবিরের ভেতরে এনজিওর অফিসেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের মুখে বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়েছে।
কক্সবাজারে ৩৪টি শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা রয়েছে বিভিন্ন ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে সেখানে। এখানে করোনাভাইরাস ছড়ালে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে সারা দুনিয়ায় দুই লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আট হাজারের বেশি। ইতোমধ্যে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে প্রায় সব বিনোদনকেন্দ্র, জাদুঘর ইত্যাদি। সারাদেশে সব প্রেক্ষাগৃহ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বন্ধ হয়ে গেছে।
করোনাভাইরাস বিশ্বকে অর্থনৈতিক মন্দার দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শুক্রবার বাসায় ওজু করে সুন্নত নামাজ পড়ে মসজিদে গিয়ে শুধু জুমার ফরজ নামাজ আদায় করার আহ্বান জানিয়েছে সরকার।